ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি? কীভাবে কাজ করে, প্রাত্যহিক জীবনে এর ব্যবহার

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কীভাবে কাজ করে

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Virtual Reality)

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি?

আপনি কি কখনো গভীর সমুদ্রে তিমি মাছের সাথে খেলা করেছেন অথবা চাঁদে গিয়েছেন? কি অসম্ভব মনে হচ্চে! না সবই সম্ভব। সেজন্য আপনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করতে হবে। আপনি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে গভীর সমুদ্রে তিমি মাছের সাথে খেলা করা, চাঁদে যাওয়া, উত্তাল সাগরে মাছ ধরা প্রভূতি নানা আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি আসলে একটি কাল্পনিক পরিবেশ। যা বাস্তব নয় তবে বাস্তবের মতো। ওই পরিবেশে গেলে আপনি নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন পরিবেশের মধ্যে। চলুন তাহলে সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো-

  • ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি?
  • ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কিভাবে কাজ?
  • ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান
  • ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ধাপ
  • ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রকারভেদ
  • প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব
  • প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির নেতিবাচক প্রভাব

 

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি  কাকে বলে?

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ইংরেজি হলো Virtual Reality. যেখানে Virtual শব্দের অর্থ “সামনে” আর Reality শব্দের অর্থ “বাস্তবতা”। তাহলে Virtual Reality শব্দের অর্থ দাড়ায় “সামনের বাস্তবতা “। তবে, এখানে বাস্তবতা বলতে এক ধরনের নির্দিষ্ট বাস্তবিক অনুকরণ বলা যেতে পারে। যা বাস্তব নয় তবে বাস্তবের অনুভব করা যায়।

প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞাননির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে অনুভবে বাস্তবতা বা কল্পবাস্তবতা নামেও ডাকা হয়। এটি মূলত কম্পিউটার প্রযুক্তি ও সিমুলেশন তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে সংক্ষেপে VR বলা হয়।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এমন একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যে পরিবেশে মগ্ন হয়ে ব্যবহারকারী বাস্তবের ন্যায় দৃশ্য উপভোগ করতে পারে, একইসাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি ইত্যাদি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

ত্রি-মাত্রিক ইমেজ তৈরির মাধ্যমে মূলত ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাজ করে। এর ফলে অনেক অসম্ভব কাজও সম্ভবপর হয়। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি গভীর সমুদ্রে তিমি মাছের সাথে খেলা করা, চাঁদের মাটিতে হেঁটে আসা, মানুষের মস্তিষ্কের নিউরা সংযোগের উপর দিয়ে হাঁটা কিংবা গভীর জঙ্গলে গিয়ে ডায়নোসরের ভাড়াও খাওয়া যায়।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান  (Elements of Virtual Reality)

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশ তৈরির জন্য কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান প্রয়োজন হয়। নিম্নে সেগুলো দেওয়া হলো-

  • হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে ডিসপ্লে (Head Mounted Display- HMD).
  • একটি পূর্ণাঙ্গ বডি স্যুইট (Body Suit).
  • রিয়েলিটি ইঞ্জিন বা সিমুলেটর (Reality Engine / Simulator).
  • ইনপুট এবং আউটপুট সেন্সর ডিভাইস (Input and Output Sensor Device).
  • ডেটা গ্লোভ (Data Gloves).
  • অডিও ডিভাইস (Audio Device) প্রভূতি।

 

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ধাপ  (Phase of Virtual Reality)

  • প্রথমে কম্পিউটারে তৈরি ত্রি-মাত্রিক ইমেজ ব্যবহার করে ভার্চুয়াল পরিমাণ বানানো হয়।
  • তারপর ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারীর গতিবিধি অনুসরণ করে ত্রিমাত্রিক ছবি অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হয়।
  • এরপর ব্যবহারকারী ডান দিকে তাকালে ডান দিকের ছবি দেখাবে। বাম দিকে তাকালে বাম দিকের ছবি দেখাবে। ব্যবহারকারী যদি গেম খেলে তাহলে শত্রু সামনে আসলে প্রয়োজন অনুযায়ী হাত নেড়ে তার সাথে লড়াই করতে হবে। এই নাড়াচড়াগুলো অনুসরণ করার জন্য সেন্সর ব্যবহার করা হয়।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কীভাবে কাজ করে? (How does Virtual Reality Work?)

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কতগুলো যন্ত্রের সাহায্যে কাজ করে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির আনন্দ উপভোগ করার জন্য ব্যবহারকারীকে এক বিশেষ ধরণের চশমা বা হেলমেট পড়তে হয়। মূলত বিশেষ ধরণের এই চশমা বা হেলমেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর দুটি চোখে দুটি ভিন্ন দৃশ্য দেখিয়ে ত্রিমাত্রিক অনুভূতি সৃষ্টি করা হয়।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশে তৈরি করার জন্য কম্পিউটারের সাহায্য নেওয়া হয়। কম্পিউটারের মাধ্যমে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে ঘটনার বাস্তবভিত্তিক ত্রি-মাত্রিক চিত্রায়ণ করা হয়। এ পরিবেশের জন্য সংবেদনশীল গ্রাফিক্স এর ব্যবহার করা হয়। সাধারণ গ্রাফিক্স আর ভার্চুয়াল গ্রাফিক্সের মধ্যে প্রার্থক্য হলো- ভার্চুয়াল গ্রাফিক্সে শব্দ ও স্পর্শকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। ব্যবহারকারীরা যা দেখে এবং স্পর্শ করে তা বাস্তবের অনুরুপ বুঝানোর জন্য চশমা ও হেলমেট ছাড়াও অনেক সময় গ্লাভস, বুট, স্যুট ব্যবহার করা হয়।

 

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রকারভেদ (Classifications of Virtual Reality)

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মূলত পাঁচ প্রকার। যথাঃ

  • নন-ইমার্সিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Non-immersive Virtual Reality).
  • সেমি-ইমার্সিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Semi-immersive Virtual Reality).
  • ফুললি-ইমার্সিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Fully-immersive Virtual Reality).
  • আর্গুমেন্টেড ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Augmented Virtual Reality).
  • কোলাবোরেটিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Collaborative Virtual Reality)

নন-ইমার্সিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Non-immersive Virtual Reality)

Non-immersive virtual reality বলতে এমন কিছু ভার্চুয়াল এক্সপেরিয়েন্সকে বুঝায় যেখানে ব্যবহারকারী সফটওয়্যারের ভিতরে থাকা ক্যারেক্টারস ও এক্টিভিটিস গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিশেষ করে পাবজি, ফ্রিফায়ারের মতো যতগুলো games রয়েছে সেগুলোর ক্যারেক্টার থেকে শুরু করে সবকিছু ব্যবহারকারী নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গেমসের ব্যবহারকারী ক্যারেক্টারস ও এক্টিভিটিস গুলোকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করে যেন সে নিজেই গেমসের একজন ক্যারেক্টার।

সেমি-ইমার্সিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Semi-immersive Virtual Reality)

বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং এর কাজে Semi-immersive Virtual Reality ব্যবহার করা হয়। Fully-immersive Virtual Reality এর ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে হেলমেট, ডেটা গ্লবস, চশমা ইত্যাদি যন্ত্র পড়তে হয় তবে Semi-immersive Virtual Reality বেলায় এসব যন্ত্রপাতি পড়তে হয়না। কম্পিউটার স্কিন ব্যবহারের মাধ্যমে সকল কাজ করা হয়। এমনকি সেমি-ইমার্সিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ক্ষেত্রে কোন শারিরিক গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজন হয় না। শুধু ভার্চুয়াল এক্সপেরিয়েন্সের মাধ্যমে ব্যবহারকারী ভার্চুয়াল জগতের মজা নিতে পারেন।

ফুললি-ইমার্সিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Fully-immersive Virtual Reality)

Fully-immersive Virtual Reality হলো বর্তমানে সবচেয়ে অ্যাডভান্সড Virtual Reality. এই টেকনোলজি ব্যবহার করে ব্যবহারকারী সরাসরি কৃত্রিম পরিবেশ এর সাথে যুক্ত হয়ে যায়। ব্যবহারকারীকে ভার্চুয়াল জগতে সম্পূর্ণ বাস্তব অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য ফুললি-ইমার্সিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা হয়। ফুললি-ইমার্সিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারের সময় ব্যবহারকারীর মনে হয় তিনি সম্পূর্ণ একটি অন্য জগতে রয়েছেন। যেখানে তিনি উপস্থিত আছেন এবং শারীরিকভাবে অনুভব করতে পারছেন। তিনি যা দেথবেন সবই সত্য বলে মনে হবে।

আর্গুমেন্টেড ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Augmented Virtual Reality)

Augmented Virtual Reality এমন এক ধরনের ভার্চুয়াল কাল্পনিক পরিবেশ যেখানে কোন জায়গায় কোন একটি জিনিস না থাকার পরেও মনে হয় আছে।

ধরুন, আপনার বাসায় ফার্নিচার লাগবে। কিন্তু আপনার বাসার জন্য কোন ধরনের ফার্নিচার লাগবে সেটা আপনি বুঝতে পারছেননা। তবে, আপনি দোকানে গেলে ফার্নিচার দোকানের মালিক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি টেকনোলজি ব্যবহার করে আপনার বাসায় কোন ধরনের ফার্নিচার লাগবে তা দেখিয়ে দিবে অর্থ্যাৎ আপনার ঘরের ভেতরে ফার্নিচার থাকার অনুভব করিয়ে আপনাকে দেখাবে। এতে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার ঘরে জন্য কোন ফার্নিচারগুলো ভালো দেখাবে।

 

কোলাবোরেটিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Collaborative Virtual Reality)

একে অপরকে কোন কাজে সহযোগিতা করার জন্য Collaborative Virtual Reality ব্যবহার করা যায়। এটি এমন একটি কাল্পনিক পরিবেশ যেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকেরা প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা পরিবেশে যুক্ত হতে পারে। এটি অনেক উন্নত মানের এবং আধুনিক। এর মূল উদ্দেশ্য হলো একে অপরকে সহযোগিতা করা।

 

ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মাধ্যমে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ
ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মাধ্যমে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ

প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব (Influence of Virtual Reality in everyday life)

শিশু শিক্ষায়

শিশুদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে আকর্ষণীয়ভাবে শিক্ষা প্রদান করতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে শিশু শিক্ষায় এর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এতে করে শিক্ষার্থীরা শুধু বইয়ের মধ্যে নয় এক ক্লাসরুম থেকেই বাস্তব অভিজ্ঞতা পায়।

ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ

আধুনিক বিশ্বে ডাক্তারদের উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দিতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে সার্জিক্যাল প্রশিক্ষণে এর প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে। এর ফলে শিক্ষানবীশ ডাক্তারগণ অত্যন্ত সহজে ও সুবিধাজনক উপায়ে বাস্তবে অপারেশন থিয়েটারে কাজ করার অভিজ্ঞতা পাচ্ছে।

কার ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ

কার ড্রাইভিং শিখতে গিয়ে অনেক মানুষের মৃত্যুর সংবাদ এখন প্রায়ই শোনা যায়। তবে, এ কাজকে অনেক সহজ করে দিতে পারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারের মাধ্যমে গাড়ি চালানোর নানা নিয়ম-কানুন খুব সহজেই আয়ত্ত করা সম্ভব। আমাদের দেশের মহিলা পুলিশদেরকে ড্রাইভিং শেখানোর জন্য ভার্চুয়াল কার ব্যবহার করা হয়।

 

বিমান চালনার প্রশিক্ষণ

দীর্ঘদিন ধরে উন্নত বিশ্বের সামরিক বাহিনী ও বাণিজ্যিক বিমান সংস্থা বিমান পরিচালনার প্রশিক্ষণে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করছে। এর ফলে স্বল্প খরচে বিমান চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদান সম্ভব হচ্ছে।

 

সেনাবাহিনীতে যুদ্ধ প্রশিক্ষণ

বিভিন্ন বিরূপ পরিবেশে সাথে মুখোমুখি যুদ্ধ করতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হচ্ছে। অত্যাধুনিক অনেক যুদ্ধের অস্ত্র সঠিকভাবে ব্যবহার, শত্রুর অবস্থান নির্ণয়, রাতে যুদ্ধ পরিচালনা প্রভূতি কাজ নিখুঁতভাবে করার উদ্দেশ্যে বর্তমানে অনেক দেশের সেনাবাহিনীতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

ব্যবসায় বাণিজ্যে

বর্তমানে ব্যবসায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন- ব্যবসায়িক কোন এনভায়রনমেন্টে ভার্চুয়াল ট্যুর, কর্মচারিদের প্রশিক্ষণ, যে কোন প্রোডাক্টের প্রদর্শন প্রভূতি। এর ফলে ক্রেতা বুঝতে পারছে তার জন্য কোন ধরনের প্রোডাক্ট উপযুক্ত। এছাড়া বিক্রেতার কষ্ট কম হচ্ছে।

 

মহাশূন্য অভিযান

মহাশূন্য অভিযানের প্রতিটি পর্বেই রয়েছে নানা ধরনের ঝুঁকি। এসব ঝুঁকির কারণে অনেক সময় মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। তবে, এসব ঝুঁকি থেকে বাচঁতে ভার্চুয়াল রিয়ালিটির ব্যবহার হচ্ছে। আকাশে ওড়ার আগে নভোচারীদের কার্যক্রম, নভোযান পরিচালনা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়গুলো কাল্পনিক পরিবেশে বাস্তবের ন্যায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

 

নগর উন্নয়নে

নগর পরিকল্পনায় ভার্চুয়াল রিয়ালিটির ব্যবহার হচ্ছে। ত্রিমাত্রিক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে নগর উন্নয়ন রূপরেখা, নগর যাতায়াত ব্যবস্থা ইত্যাদি সহজ ও আকর্ষণীয়ভাবে বর্ণনা করা যায়।

 

গেমস তৈরি

বর্তমান বিশ্বে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় গেমস তৈরি হচ্ছে। Xbox 360, PS2 এবং কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গেমস রয়েছে।

 

প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির নেতিবাচক প্রভাব (Negative Influence of VR in everyday life)

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির যেমন ইতিবাচক নানা দিক রয়েছে তেমনি ইতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি নানা নেতিবাচক দিকও রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

 

চড়া দাম এবং জটিলতা

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সরঞ্জামাদির দাম অনেক বেশি এবং জটিলতা রয়েছে। যার কারণে সাধারণ মানুষ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারের বাইরে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্নতায় আছেন।

 

স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক

বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, মানুষের জন্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার ক্ষতিকারক। এটি মানুষের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তির নষ্ট করে দেয়।

 

কল্পনার জগতে বিচরণ

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে মানুষ এক কল্পনার জগতে যায়। যেখানে সে নিজের ইচ্ছেমতো বিচরণ করতে পারে। কিন্তু অনেক সময় ধরে এ জগতে থাকলে মানুষ বাস্তবতা থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যায়। এর ফলে পৃথিবীতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

 

মনুষ্যত্বহীনতা

ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে মানুষ বাস্তবিকের চেয়ে উন্নত পরিবেশ ও মনের মতো সঙ্গী পাবে। কিন্তু এর প্রসার বেশি হলে মানুষের পারস্পরিক ক্রিয়া হ্রাস পাবে এবং মনুষ্যত্বহীনতা বেড়ে যাবে। ফলে ক্রমেই মানব সমাজ বিলুপ্ত হতে থাকবে।

#########

4 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button