লালমনিরহাট জেলার সকল তথ্য (যে কোন পরীক্ষার জন্য)

লালমনিরহাট জেলা পরিচিতি

লালমনিরহাট জেলা পরিচিতি

লালমনিরহাট জেলা কোন নদীর তীরে অবস্থিতঃ তিস্তা।

জেলা প্রতিষ্ঠিতঃ ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি।

মহকুমা প্রতিষঠিতঃ ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ মে।

আয়তনঃ-১,২৪৭.৩৭১ বর্গ কিলোমিটার।

সীমানাঃ উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলা,দক্ষিণে রংপুর জেলা, পূর্বে কুড়িগ্রাম ও ভারতের কুচবিহার জেলা এবং পশ্চিমে রংপুর ও নীলফামারী জেলা।

ভৌগোলিক অবস্থানঃ ২৫°৪৮´ থেকে ২৬°২৭′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৩৮´ থেকে৮৯°৩৬′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।

গড় তাপমাত্রाঃসর্বোচ্চ ৩২.৩° সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ১১.২০° সেলসিয়াস।

বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতঃ২৯৩.১ মিলিমিটার।

উপজেলা : ৫টি; পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও লালমনিরহাটসদর।

থানঃ ৫টি।

পৌরসভাঃ ২টি; লালমনিরহাট ও পাটগ্রাম।

ইউনিয়নঃ ৪৫টি।

পোস্ট কোডঃ5500

এন ডব্লিউ ডি কোডঃ০৫৯১

ঢাকা থেকে দূরত্বঃসড়ক পথে ৩৯০ কি. মি. ও রেলপথে ৪১৬ কি.মি. ।

জনসংখ্যাঃ১২,৫৬,০৯৯ জন (২০১১ খ্রিস্টাব্দের আদমশুমারী অনুযায়ী)।
ঘনত্বঃ১,০০০ জন (প্রতি বর্গ কি.মি.)

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারঃ১.২৩%

শিক্ষার হার

ফসলঃ ধান, তামাক, আখ, আলু, ভুট্টা, সূর্যমুখী, তরমুজ, শাক-সবজি ইত্যাদি।

প্রধান ফলমূলঃআম, কাঁঠাল, লিচু, জাম, কলা ইত্যাদি

নদ-নদী: তিস্তা, ধরলা, শিঙ্গীমারী প্রভৃতি ।

প্রাকৃতিক সম্পদউল্লেখযোগ্য কোন প্রাকৃতিক সম্পদ নেই ।

খনিজ সম্পদঃ সিলিকেট ও ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ পাথর, বালি ইত্যাদি ।

পত্র-পত্রিকা: সাপ্তাহিক লালমনিরহাট বার্তা ।

জেলা প্রশাসকঃ আপডেট জেনে নিবেন।

 

 

নামকরণ

লালমনিরহাট জেলার নামকরণ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি মত চালু আছে। জনশ্ৰুতি আছে, ঊনবিংশ শতাব্দীতে যখন বেঙ্গল ডুয়ার্স রেল লাইন তৈরির জন্য মাটি খননের কাজ চলছিল জন শ্রমিকরা এখানে মাটির নিচে লাল পাথর দেখতে পায়। সেই থেকে এ জায়গার নাম হয়েছে। ‘লালমনি’। অন্য মতানুসারে, বৃটিশ রেলওয়ে যে মহিলার জমি অধিগ্রহণ করেছিল তার নাম ছিল আরেকটি মত হল, ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে সাধারণ কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লালমনি নামে এক ফালমনি। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এলাকার লোকজন এ জায়গার নাম রাখে ‘লালমনি’। অন্য মহিলা কৃষক নেতা নুরুলদিনকে সাথে নিয়ে বৃটিশ সৈন্য ও জমিদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। সেই থেকে এ জায়গার নাম হয় ‘লালমনি’। কালের বিবর্তনে ‘হাট’ শব্দটি ‘লালমনি’ শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে ‘লালমনিরহাট’ নামকরণ হয়েছে।
অ্যাসিওরেন্স বিসিএস ভাইভা সহায়িকা (মুর্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ পরিচিতি) *২২২

দর্শনীয় স্থান

কালীগঞ্জ উপজেলাধীন কাকিনা ইউনিয়নের কাকিনা মৌজায় অবস্থিত কাি জমিদার বাড়ি, তুষভান্ডার ইউনিয়নের উত্তর মনেশ্যাম মৌজায় অবস্থিত তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ি, লালমনিরহাট সদর উপজেলাধীন কিশামত নগরবন্দ মৌজায় অবস্থিত নিদাড়িয়া ইউনিয়নের গোড়ল বিল, পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বু হাসর উদ্দিন দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬নং সেক্টর হেডকোয়ার্টার: শতাব্দী প্রাচীন রেল লাইন ও বেল সেতু, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিবহ বিমান ঘাঁটি, বহুল আলোচিত তিস্তা ব্যারেজ প্রভৃতি।

পুরাকীর্তি :

তুষভান্ডার জমিদার বাড়ি:

তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউ উত্তর ঘনেশ্যাম মৌজায় অবস্থিত।তৎকালে ধর্মীয় কার্যাদির জন্য উপঞ্চৌকি ব্যবস্থায় ভূমি দান কর হত। মুরারি দেব ঘোষাল ভট্টাচার্য ব্রাহ্মণ হওয়ায় শূদ্র রাজার দান ভোগে আপত্তি উত্থাপন করেন এবং প্রদত্ত সম্পত্তির জন্য খাজনা গ্রহণের আবেদন জানান। মহারানী অবশেষে খাজনা স্বরূপ ধানের গ্রহণে সম্মত হন। খাজনা স্বরূপ তুষ সংগ্রহ করে বর্তমান জমিদার বাড়ির পূর্ব পাশে অনতি স্তূপাকারে রাখা হত এবং পরে তা কুচবিহার রাজবাড়িতে প্রেরণ করা হত। জনশ্রুতি মতে, সংগৃহীত তুষের স্তূপের কারণে তৎকালে স্থানটি তুষভাণ্ডার (তুষের ভাণ্ডার) হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল।

হারানো মসজিদ: রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের ১ কি. মি. দক্ষিণে লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় এ প্রাচীন মসজিদটি অবস্থিত। এখানে মজিদের আড়া নামর জঙ্গলে ৬”X ৬”× ২” সাইজের একটি শিলালিপি পাওয়া যায় যার মধ্যে স্পষ্টাক্ষারে আরবিতে লেখা আছে ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ, হিজরী সন ৬৯’। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এটি একটি প্রাচীন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ। বর্তমানে সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়াও রয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলাধীন কাকিনা ইউনিয়নের কাকিনা মৌজায় অবস্থিত কাকিনা জমিদার বাড়ি, লালমনিরহাট সদর উপজেলাধীন কিশামত নগরবন্দ মৌজায় অবস্থিত নিদাড়িয়া মসজিদ প্রভৃতি ।

বিখ্যাত ব্যক্তি

কবি শেখ ফজলল করিম: নীতিবাদী সাহিত্য সাধক শেখ ফজলল করিম ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ এপ্রিল কালীগঞ্জ থানার কাকিনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্তে কাল করলে বাড়ির সম্মুখে তাঁকে সমাহিত করা হয়, যা ‘কবি বাড়ি’ নামে বহুল পরিচিত।

বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা

  • মোঃ বছির উদ্দীন
  • মোঃ আমীর হোসেন
  • শ্রী অমল চন্দ্র, মোঃ মমতাজুল হক
  • মোঃ মোখলেছুর রহমান
  • মোঃ জয়েন উদ্দীন প্রমুখ।

অন্যান্যঃ > লালমনিরহাট জেলার উদ্বোধন করেন তৎকালীন সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ শাফিয়া খাতুন ।

সংসদীয় আসন

জন প্রতিনিধি: সংসদীয় আসন- ৩টি।

সংসদীয় আসন

১৬-লালমনিরহাট-১,পাটগ্রাম হাতিবান্ধা উপজেলা

১৭-লালমনিরহাট-২,আদিতমারী কালীগঞ্জ উপজেলা

১৮-লালমনিরহাট-৩,লালমনিরহাট সদর উপজেলা

৩০২-সংরক্ষিত মহিলা আসন-২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button