জিএসএম কি বা কাকে বলে? জিএসএম এর বৈশিষ্ট, সুবিধা-অসুবিধা

জিএসএম (GSM)

জিএসএম কি বা কাকে বলে? (What is GSM)

GSM এর পূর্ণরূপ হলো Global System for Mobile Communications.  জিএসএম হলো মোবাইল টেলিফোনি সিস্টেমের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ট্যান্ডার্ড। জিএসএম কে দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন সিস্টেম হিসেবে গণ্য করা হয়।

মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের মধ্যে রোমিং চুক্তি থাকার কারণে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে জিএসএম এর আওতায় থাকা ব্যক্তি নিজের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন। স্বপ্ন মূল্যের এসএমএস (SMS) সার্ভিস বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও জিএসএম পথিকৃৎ হিসাবে কাজ করেছে।

GSM, TDMA ব্যবহার করে যেসকল মোবাইল ফোন কম্পানি সার্ভিস দিয়ে থাকে তা হলো-

  • এসএমএস (SMS) প্রদান।
  • কল ফরওয়ার্ডিং (Call forwarding).
  • আউটগোয়িং কল বেরিং (Barring of Outgoing Calls)- আউটগোয়িং কোনকে কলকে নিয়ন্ত্রণ করা।
  • ইনকামিং কল বেরিং (Barring of Incoming Calls) — ইনকামিং কোন কলকে নিয়ন্ত্রণ করা।
  • এডভাইস অব চার্জ (Advice of Charge -AOC) – অপারেটরের সাহায্য ব্যতীত কোন কলের খরচ জানা।
  • কলার আইডি (caller ID).
  • কলার ওয়েটিং (Call Waiting).
  • কল হোল্ডিং (Call Holding).
  • মাল্টিপার্টি সার্ভিস (Multiparty service).
  • মাল্টিপার্টি কনফারেন্সিং (Multiparty Conferencing).
  • ফ্যাক্স সার্ভিস (Facsimile Services).
  • ক্লোজড ইউজার গ্রুপ (Closed User Group CUG).
  • Explicit Call Transfer (ECT)- এই সার্ভিসের মাধ্যমে ব্যবহারকারী একইসাথে দুইটি কলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
  • কম্পিউটারের সাথে সংযোগ (Connection with Computer).

 

আরও পড়ুন:

সিডিএমএ কি? সিডিএমএ এর বৈশিষ্ট, সুবিধা-অসুবিধা

জিএসএম ও সিডিএমএ এর মধ্যে পার্থক্য কী?

 

জিএসএম এর বৈশিষ্ট্য (Features of GSM)

  • স্বপ্ন মূল্যের এসএমএস (SMS) সার্ভিস বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও জিএসএম পথিকৃৎ হিসাবে কাজ করেছে।
  • সেলুলার নেটওয়ার্ক হওয়ার কারণে নির্দিষ্ট এলাকায় থাকা মোবাইল ফোনগুলো GSM এর সাথে সংযুক্ত হয়।
  • GSM এর ফিক্সড সেল সাইট রেঞ্জ হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩৫ কিলোমিটার।
  • GSM স্ট্যান্ডার্ডটি ইনডোর কভারেজকেও সমর্থন করে।
  • অধিকাংশ 2G GSM নেটওয়ার্কগুলো 900 M11 বা 1800 MHz ব্যান্ডে পরিচালিত হয়।
  • হ্যান্ডসেটের ট্রান্সমিশন ক্ষমতা (transmission capacity) ২ বা ১ ওয়াট ।
  • GSM নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু Cryptographic Algorithm ব্যবহার করে।

 

জিএসএম এর সুবিধা (Advantages of GSM)

  • GSM একটি দক্ষ প্রযুক্তি যার কারণে শক্তিশালী ফিচারসহ অনেক বেশি স্থায়ী নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়।
  • বিল্ডিং এর অভ্যন্তরে সিগন্যালের অবনতির হার কম।
  • রিপিটারসমূহ ব্যবহারে সক্ষম।
  • মোবাইল টেলিফোনি সিস্টেমের জন্য GSM বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ট্যান্ডার্ড।
  • ট্রান্সমিশনের পালস স্বভাবের কারণে টকটাইম সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
  • সারা বিশ্বে GSM এর ব্যাপক কভারেজ রয়েছে।
  • এক দেশের তৈরি GSM হ্যান্ডসেট অন্য দেশে ব্যবহার করা যায়।

 

জিএসএম এর অসুবিধা (Disadvantages of GSM)

  • GSM প্রযুক্তিতে একই ব্যান্ডউইথকে একাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করে। কিন্তু যখন ব্যবহারকারীর সংখ্যা একইসাথে বেশি হয় তখন সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বিঘ্ন দেখা দেয়।
  • GSM এর ফিক্সড সেল সাইট রেঞ্জ হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩৫ কিলোমিটার। যার নানা কারিগরি সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
  • GSM পালস ট্রান্সমিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করার কারণে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এর উপর এটি প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন- পেস মেকার ও হিয়ারিং এইড ডিভাইসসমূহ। তাই বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে হাসপাতাল ও বিমানের অভ্যন্তরে সাধারণত সেল ফোন বন্ধ রাখা হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button