৭৬ ঘণ্টা পরে অনশন ভাঙলেন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা

বৃহস্পতিবারের মধ্যে স্বতন্ত্র কমিটি গঠনের আশ্বাস

স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (বিআইটি) আদলে একাডেমিক ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে অনশনরত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ৭৬ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙেছেন। গতকাল বুধবার সরকারের পক্ষ থেকে দাবি আদায়ের আশ্বাস দেওয়া হলে তারা অনশন ভাঙেন ।

জানা যায়, গতকাল সচিবালয়ে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষার্থীদের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমাদ খানের নেতৃত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, চারজন অতিরিক্ত সচিব ও একজন যুগ্মসচিব।

এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির এবং চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং সমস্যা সমাধানে আজ বৃহস্পতিবার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি প্রকাশ করার আশ্বাস দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল অনশনস্থলে ফিরে এসে অনশনরতদের হাতে খাবার তুলে দেন। গত রোববার দুপুর ১ টা থেকে এক দফা দাবি আদায়ে তারা এ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলো। এ কর্মসূচিতে দেশের চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

অনশনে থাকা শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান বলেন, সরকার আমাদের দাবির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে এবং আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। তাই আমরা অনশন শেষ করলাম, সেইসাথে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করা শিক্ষার্থীরাও সেখান থেকে সরে এসেছেন। তবে তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাব।

শিক্ষার্থীরা জানান, ১৮ বছর ধরে পেশাগত ও একাডেমিক দুরবস্থার মধ্যে থাকলেও সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। শিক্ষক সংকট, ল্যাব সুবিধার অভাব ও একাডেমিক মানের ঘাটতির কথা জানান তারা।

অনশন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, খেলাফত ছাত্র মজলিশ, গণসংহতি আন্দোলন, জুলাই ঐক্য ও ইনকিলাব মঞ্চ।

/আইএস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button