হ্যাশট্যাগ কী? হ্যাশট্যাগ কেন ব্যবহার করা হয়

হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের নিয়ম

হ্যাশট্যাগ কেন ব্যবহার করা হয়?

হ্যাশট্যাগ কী?

আমরা সবাই প্রায়ই হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করে থাকি। সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে এটির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। কোনো একটি বিষয়ে সবাইকে একতাবদ্ধ করতে এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা হ্যাশট্যাগ যুক্ত বিভিন্ন ছবি বা পোস্ট দেখি। কিন্তু আমরা অনেকই বুঝতে পারি না কেন এই হ্যাশট্যাগটি (#) ব্যবহার করা হয়েছে।

 

হ্যাশট্যাগ কাকে বলে?

মাইক্রোব্লগিংয়ের ভাষায় #-এই চিহ্নটিকে হ্যাশ ট্যাগ বলে। একই ধরনের সকল তথ্যকে বুঝাতে এটি ব্যবহার করা হয়।উদাহরণস্বরূপ- সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার কারণে বর্ণবাদবিরোধী ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অনেকে অনেক কিছু লেখেছে। এখন আপনি এই বিষয়ে লেখার সময় যদি #ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটার ব্যবহার করেন, তাহলে বুঝতে হবে যে এটি সম্পর্কিত আরও তথ্য বা স্ট্যাটাস রয়েছে এই হ্যাশট্যাগে।

আরও পড়ুন:

ওয়াইফাইয়ের স্পিড বাড়াবেন যেভাবে

ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে উদ্ধার করবেন যেভাবে

হ্যাশট্যাগ কেন ব্যবহার করা হয়?

কোনো শব্দ, বর্ণ, বাক্য বা ছবির শুরুতে হ্যাশট্যাগ (#) ব্যবহার করার ফলে এটি নীল রঙের হয়ে যায়। তখন এটি একটি হাইপারলিংকে পরিণত হয়। পরে এটি সম্পর্কিত সকল স্টেটাস বা ছবিতে যদি একই হ্যাশট্যাগ ইউজ করা হয় তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীরা সহজেই সকল তথ্য এক জায়গা থেকে জানতে পারবে। অর্থাৎ এটি সবার মতামতকে এক করার একটি বিশেষ উদ্যোগ।

একটি বিষয়ের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে, হ্যাশট্যাগ যুক্ত শব্দসমষ্টিতে কোনো গেপ দেওয়া যাবে না। গেপ দিলে এটি লিংক স্থাপন করতে পারে না। এমনকি কোনো যতিচিহ্ন ব্যবহার করা যাবে না। তবে আন্ডারস্কোপ  ( _ ) ব্যবহার করা যায়।

আরও পড়ুন:

স্মার্টফোন বারবার হ্যাং হলে যা করবেন

হেডফোন ও ইয়ারফোনের মধ্যে পার্থক্য

অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার ও জনমত মত গঠন করার জন্য হ্যাশট্যাগের ব্যবহার বেশি হয়। বর্তমানে অন্যান্য বিষয়েও এর বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। যেমন ই-কমার্স, টেলিমেডিসিন, আড্ডা ইত্যাদি বিষয়ে হ্যাশট্যাগের ব্যবহার লক্ষণীয়।

 

হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের ইতিহাস

মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে সর্বপ্রথম হ্যাশট্যাগের ব্যবহার শুরু হয়। পরে ২০১৩ সাল থেকে ফেসবুকও এর ব্যবহার আরম্ভ করে। GOOGLE PLUS এ এটি ব্যবহার করা যায়। হ্যাশট্যাগের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতে ২০১৪ সালের জুন মাসে হ্যাশট্যাগ শব্দটি জায়গা করে নেয়।

হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করার সময় কিছু বিষয়বস্তুর প্রতি সর্তক থাকতে হবে। সব পোস্টে হ্যাশট্যাগ ইউজ করার দরকার পরে না। সব কিছুতেই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে ব্যাপারটা এমন নয়। আপনি কোন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করে কি পরিমাণ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা যাবে।

হ্যাশট্যাগ টপিককে যতটা সম্ভব ছোট এবং সংক্ষিপ্ত করে ব্যবহার করতে হবে। দুই থেকে তিন শব্দ মিলিয়ে হ্যাশট্যাগ দেওয়াই ভালো। সব পোস্টে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার না করে একদম গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে মূল বিষয়কে হ্যাশট্যাগ দ্বারা হাইলাইটস করতে পারেন।

হ্যাশট্যাগ ব্যবহৃত পোস্ট আপনার উদ্দেশ্যকেই শুধু ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছেই দেয় না। এটি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আপনার প্রতিযোগী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়। তাই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে জেনে নিন আপনার পণ্যের মতো পণ্য আরও কেউ সরবরাহ করছে কি না।

আরও পড়ুন:

মোবাইল অফিশিয়াল না আন অফিশিয়াল বুঝবেন যেভাবে

ই-সিম কী? ই-সিমের সুবিধা ও অসুবিধা এবং ব্যবহারের নিয়ম

########

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button