রাজশাহী জেলা সম্পর্কে সকল তথ্য (যেকোনো পরিক্ষার জন্য)
রাজশাহী জেলা পরিচিতি
রাজশাহী জেলা পরিচিতি
রাজশাহীর পুরাতন নাম কিঃ মহাকাল গড়, রামপুর বোয়ালিয়া।
রাজশাহী জেলা কোন নদীর তীরেঃ পদ্মা।
রাজশাহী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় কবেঃ ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে।
রাজশাহী জেলার আয়তন কতঃ ২,৪০৭,০১ বর্গ কিলোমিটার ।
রাজশাহী জেলার সীমানাঃ উত্তরে নওগা জেলা, দক্ষিণে কুষ্টিয়া জেলা, পদ্মা নদী ও ভারতের পশ্চিমঙ্গ রাজ্য, পূর্বে নাটোর জেলা এবং পশ্চিমে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা।
রাজশাহী জেলার ভৌগোলিক অবস্থানঃ ২৪°০৭′ হতে ২৪ ৪৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°১৭′ হতে ৮৮ ৫৮ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
রাজশাহী জেলার বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত কতঃ১,৪৪৮ মিলিমিটার।
রাজশাহী জেলায় সিটি কর্পোরেশন কতটি ও কি কিঃ ১টি। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।
রাজশাহী জেলায় উপজেলা কতটিঃ ৯টি; রাজশাহী সদর, বাঘা, পুঠিয়া, পবা, বাগমারা, তানোর, চারঘাট, গোদাগাড়ী, মোহনপুর ও দূর্গাপুর।
রাজশাহী জেলায় থানা কতটিঃ ১৩টি (মেট্রোপলিটন এলাকায় ৪টি)।
রাজশাহী জেলায় পৌরসভা কতটিঃ ১৪টি; পুঠিয়া, বাঘা, তানোর, চারঘাট, গোদাগাড়ী, দূর্গাপুর, তাহেরপুর নওয়াহাটা, ভবানীগঞ্জ, মুণ্ডমালা, কাকনহাট, কাটাখালী, কেশোরেহাট ও আরানী।
রাজশাহী জেলায় ইউনিয়ন কতটিঃ ৭১টি।
রাজশাহী জেলার পোস্ট কোড কতঃ ৬০০০।
রাজশাহী জেলার এন ডব্লিউ ডি কোড কতঃ ০৭২১।
ঢাকা থেকে রাজশাহী জেলার দূরত্ব কতঃ সড়ক পথে ২৬৯ কি. মি. ও রেলপথে ৩৬৯ কি.মি. ।
রাজশাহী জেলার জনসংখ্যা কতঃ ২৫,৯৫,১৯৭ জন (২০১১ খ্রিস্টাব্দের আদমশুমারী অনুযায়ী)।
রাজশাহী জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব কতঃ১,১০০ জন (প্রতি বর্গ কি.মি.) ।
রাজশাহী জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কতঃ ১.২৫%
রাজশাহী জেলায় শিক্ষার হার কতঃ ৫৩%।
রাজশাহী জেলার উপজাতিঃ সাঁওতাল, ওঁরাও, মুণ্ডা প্রভৃতি ।
রাজশাহী জেলার নদ-নদীঃ পদ্মা, মাথাভাঙা, পুনর্ভবা, বারনই, রানী, কম্পো ইত্যাদি।
রাজশাহী জেলায় চিনিকল কতটিঃ ১টি।
রাজশাহী জেলায় পাটকল কতটিঃ ১টি।
রাজশাহী জেলায় সেরিকালচার কতটিঃ ১টি।
রাজশাহী জেলার খনিজ সম্পদ কিঃ উল্লেখযোগ্য কোন সম্পদ নেই।
রাজশাহী জেলার পত্র পত্রিকাঃ দৈনিক সোনালী সংবাদ, দৈনিক বার্তা,দৈনিক সানশাইন, দৈনিক নতুন প্রভাত, দৈনিক রাজবার্তা, দৈনিক উপাচার, দৈনিক সোনার দেশ, সাপ্তাহিক গণদৃষ্টি, সাপ্তাহিক রাজশাহীর আলো, দৈনিক লাল গোলাপ, বরেন্দ্র সংবাদ ইত্যাদি। মোঃ হেলাল মাহমুদ।
রাজশাহী জেলার জেলা প্রশাসকঃ আপডেট জেনে নিবেন।
রাজশাহী জেলার নামকরণ
এ অঞ্চলে রাজারাজড়াদের আবাসস্থলকে কেন্দ্র করে নাম হয়েছে রাজশাহী। মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন, মোগল ও ইংরেজরা এ অঞ্চলে শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। পঞ্চদশ শতকে ভাতুরিয়া দিনাজপুরের জমিদার রাজা কংস বা গনেশ এ অঞ্চলের অধিপতি ছিলেন। তিনি রাজা শাহ নামে পরিচিত ছিলেন । মনে করা হয় এই ‘রাজা’ আর ‘শাহ’ মিলে রাজশাহী নামকরণ হয়েছে।
রাজশাহী জেলার ঐতিহ্য: প্রমত্তা পদ্মা, রেশম সুতা ও রেশমবস্ত্র, তাঁত শিল্প, বাঁশ ও বেত শিল্প, কাঠের কাজ,কাঁসা, সেলাই, বিড়ি শিল্প, গম্ভীরা গান।
রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থান : বরেন্দ্র জাদুঘর, পুঠিয়া মন্দির, গোয়ালকান্দি জমিদার বাড়ি, মোহনপুরের তুলসি ক্ষেত্র, বাগমারা উপজেলা ও আত্রাই উপজেলার সীমান্তে গজমতখালী ব্রিজ, বাগমারা উপজেলা সকোপাড়া- খলিফা পাড়ায় নিশিন্দা রাজের ধ্বংসস্তূপ, প্রমত্তা পদ্মার চর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী পুলিশ একাডেমি, রেশম গবেষণা কেন্দ্র, রাজশাহী, বোয়ালিয়া ক্লাব, হিন্দুদের দেবী দূর্গার পৃথিবীতে প্রথম আবির্ভাবস্থল তাহেরপুর, উপজাতীয় কালচারাল একাডেমি প্রভৃতি
রাজশাহী জেলার পুরাকীর্তিসমূহ
বরেন্দ্র জাদুঘর: বাংলাদেশের প্রাচীনতম জাদুঘর রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর বাঙালি ইতিহাস, ঐতিহ্য আর স্থাপত্যশিল্পের অন্যতম সম্ভার। বরেন্দ্র জাদুঘরের বর্তমান পুরাকীর্তির সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার। বরেন্দ্র জাদুঘরটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে এবং শেষ হয় ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর বাংলার তৎকালীন গভর্নর লর্ড কারমাইকেল এটি উদ্বোধন করেন। দিঘাপতিয়ার রাজপরিবারের আনুকূল্যে এ জাদুঘর বঙ্গীয় শিল্পকলার সমৃদ্ধ ভাণ্ডারে পরিণত হয়। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে বরেন্দ্র যাদুঘরের প্রত্নসম্পদ অন্বেষণ এবং গবেষণা কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দয়ারামপুরের জমিদার শরৎকুমার রায়, প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ অক্ষয় কুমার মৈত্র এবং রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক রমাপ্রসাদ চন্দ। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৭ নভেম্বর বর্তমান ভবনটিতে বরেন্দ্র যাদুঘরের পথচলা শুরু হয়।
তাহেরপুর মন্দির: মা দূর্গার পৃথিবীতে প্রথম আবির্ভাবস্থল রাজশাহীর তাহেরপুরে রয়েছে ঐতিহাসিক মন্দির। ত্রেতাযুগে স্বৰ্গীয় দূর্গাদেবী দশরথ পুত্র মহামতি রামের পূজায় সন্তুষ্ট হয়ে রাবণবধের বর প্রদান করলে রাম লঙ্কারাজ রাবণকে বধ করতে সক্ষম হন। ৮৮৭ বঙ্গাব্দে (১৪৮০ খ্রিস্টাব্দে) কংস নারায়ণের আহবানে দূর্গা সাধারণ্যে আবির্ভূত হন। এই স্থানে শরৎকালে আশ্বিন মাসের মহা ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর বোধন হয়। ঐ পূজায় পৌরহিত্য করেছিলেন রাজপণ্ডিত রমেশ শাস্ত্রী। দুর্গার প্রথম পদধুলিতে ধন্য পুণ্যভূমি রাজশাহীর তাহেরপুর। এই পুণ্যভূমি থেকেই শারদীয় দূর্গোৎসবের সূচনা।
বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব
এ.এইচ.এম.কামরুজ্জামান : বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতীয় নেতা কামরুজ্জামান ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ছিল ‘হেনা’। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে তিনি মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ এ.এইচ.এম. খ্রিস্টাব্দের ৩ নভেম্বর রাতে তিনি অন্য জাতীয় তিন নেতার সাথে নির্মমভাবে ঢাকা জেলখানার অভ্যন্তরে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
এছাড়াও রয়েছেন ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক শরৎকুমার রায়, সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষানুরাগী মির্জা মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, মহারানী ভবানী, রায় বাহাদুর প্রমথনাথ রায়, মহারানী শরৎসুন্দরী দেবী, মহারানী হেমন্তকুমারী দেবী, চন্দ্রশেখরেশ্বর রায়, রাজা বাহাদুর শশিশেখরেশ্বর রায়, জমিদার হরনাথ রায়, রাজকুমার সরকার, হাজী লাল মোহাম্মদ সরদার, সমাজহিতৈষী ও রাজনীতিবিদ এমাদউদ্দীন আহমদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুল হামিদ মিয়া প্রমুখ।
সংসদীয় আসন ৬ টি
- ৫২-রাজশাহী-১,তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা
- ৫৩-রাজশাহী-২,সিটি কর্পোরেশনভুক্ত এলাকা
- ৫৪-রাজশাহী-৩,পবা ও মোহনপুর উপজেলা
- ৫৫-রাজশাহী-৪,বাগমারা উপজেলা
- ৫৬-রাজশাহী-৫, দূর্গাপুর ও পুঠিয়া উপজেলা
- ৫৭-রাজশাহী-৬,চারঘাট ও বাঘা উপজেলা
৩০৫-সংরক্ষিত মহিলা আসন-৫