নাটোর জেলা সম্পর্কিত সকল তথ্য (যে কোন পরিক্ষার জন্য)

নাটোর জেলা পরিচিতি 

 

নাটোর জেলা কোন নদীর তীরে আবস্থিতঃ নারদ নদ/ আত্রাই।

নাটোর জেলা প্রতিষ্ঠা করা হয় কবেঃ ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে।

নাটোর মহকুমা প্রতিষ্ঠা করা হয় কবেঃ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে।

নাটোর থানা প্রতিষ্ঠিত করা হয় কবেঃ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে।

নাটোর জেলার আয়তন কতঃ ১,৮৯৬.০৫ বর্গ কিলোমিটার।

নাটোর জেলার সীমানাঃ উত্তরে বগুড়া ও নওগাঁ জেলা, পূর্বে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলা, দক্ষিণে পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলা এবং পশ্চিমে রাজশাহী জেলা | ।

নাটোর জেলার ভৌগোলিক অবস্থানঃ ২৪°২৬ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯৯ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।

নাটোর জেলার বার্ষিক গড় তাপমাত্রাঃ সর্বোচ্চ ৩৭.৮° সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ১১.২° সেলসিয়াস।

নাটোর জেলার বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতঃ ১৮৬২ মিলিমিটার।

নাটোর জেলায় উপজেলা কতটিঃ ৭টি, নাটোর সদর, সিংড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, লালপুর, বাগাতিপাড়া ও নলডাঙ্গা।

নাটোর জেলায় থানা কতটিঃ ৭টি।

নাটোর জেলায় পৌরসভা কতটিঃ ৮টি; নাটোর, সিংড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, বনপাড়া, গোপালপুর,বাগাতিপাড়া ও নলডাঙ্গা

নাটোর জেলায় ইউনিয়ন কতটিঃ ৫২টি।

নাটোর জেলার পোস্ট কোড কতঃ ৬৪০০।

নাটোর জেলার এন ডব্লিউ ডি কোড কতঃ ০৭৭১

ঢাকা থেকে নাটোর জেলার দূরত্ব কতঃ সড়ক পথে ২২৩ কি. মি. ও রেলপথে ৪১৭ কি.মি. ।

নাটোর জেলার জনসংখ্যা কতঃ ১৭,০৬,৬৭৩ জন (২০১১ খ্রিস্টাব্দের আদমশুমারী অনুযায়ী)।

নাটোর জেলায় জনসংখ্যার ঘনত্ব কতঃ ৯১৫ জন (প্রতি বর্গ কি.মি.) ।

নাটোর জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার: ১.৪০%

নাটোর জেলায় শিক্ষার হার কতঃ ৪৯.৬%

নাটোর জেলার প্রধান ফসলঃ ধান, গম, ভুট্টা, ডাল, রসুন, পেঁয়াজ, ধনে, কালিজিরা, আলু, পাট, আখ, বাঁশ, পান, শাক-সবজি প্রভৃতি

নাটোর জেলার প্রধান ফলমূলঃ আম, লিচু, জাম, কাঁঠাল, কলা, নারিকেল, বেল, তাল, আমড়া, তরমুজ ইত্যাদি।

নাটোর জেলার নদ-নদীঃ নন্দকুঁজা, বারনই, গোধাই, বড়াল, শুনাই, নারদ নদ প্রভৃতি

নাটোর জেলার খনিজ সম্পদঃ গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের ধানুড়া গ্রামে গভীর স্যালো টিউবওয়েল থেকে গ্যাস উদগীরণ হয়েছে।

নাটোর জেলার পত্র পত্রিকাঃ দৈনিক জনদেশ, সাপ্তাহিক নাটোর বার্তা, সাপ্তাহিক উত্তর গণজীবনইত্যাদি। :

নাটোর জেলার জেলা প্রশাসক এর নামঃআপডেট জেনে নিবেন।

 

নাটোর জেলার নামকরণ

নাটোর জেলার নামকরণ বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। অনেকে মতে, জেলা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নারদ নদের নাম থেকে নাটোর নামের উৎপত্তি। আবার, অনেকের মনে করেন, অতীতে এ অঞ্চলটি খুব নিচু ছিল বলে স্থানটিকে বলা হত নাতোর (না অর্থ ‘অসম্ভব’ ও তর অর্থ ‘গমন’)। এ থেকে জেলার নামকরণ হয়েছে নাটোর।

নাটোর জেলার ঐতিহ্য: কাঁচাগোল্লা, চলনবিল, দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি (উত্তরা গণভবন), রাণী ভবানী রাজবাড়ি প্রভৃতি।

নাটোর জেলার দর্শনীয় স্থান ও পুরাকীর্তি

নাটোর রাজবাড়ি: মোগল শাসনামলের শেষ সময় বাংলার সুবেদার মুর্শিদকুলী খানের (১৭০১ ১৭২৭ শাসনকাল) প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বরেন্দ্রী ব্রাহ্মণ রঘুনন্দন তার ছোটভাই রামজীবনের নামে এতদঅঞ্চলে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন। রাজা রামজীবন রায় নাটোর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। কথিত আছে, লস্কর খাঁ তার সৈন্য-সামন্তদের জন্য যে স্থান হতে রসদ সংগ্রহ করতেন, কালক্রমে তার নাম হয় লস্করপুর পরগনা। এই পরগনার একটি নীচু জলাভূমির নাম ছিল ছাইভাঙ্গা বিল। ১৭১০ সনে রাজা রামজীবন রায় এই স্থানে মাটিভরাট করে তার রাজধানী স্থাপন করেন। কালক্রমে এটি মন্দির, প্রাসাদ, দীঘি, উদ্যান ও মনোরম অট্টালিকা দ্বারা সুসজ্জিত নগরীতে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে ছাইভাঙ্গা বিলের উপরে প্রতিষ্ঠিত হয় নাটোর শহর ।

 

দিঘাপতিয়ার জমিদার বাড়ি (উত্তরা গণভবন): রানী ভবানীর নায়ের দয়ারামের উপরে সন্তুষ্ট হয়ে নবাব সিরাজ-উ-দ্দৌলা দিঘাপতিয়া পরগনা তাকে উপহার দিলে এখানে রাজবাড়ি প্রতিষ্ঠা করা হয়। দিঘাপতিয়ায় প্রতিষ্ঠিত বর্তমান উত্তরা গণভবনটি দয়ারামের পরবর্তী বংশধর রাজা প্রমদনাথের সময় গ্রিক স্থাপত্য কলার অনুসরণে রূপকথার রাজপ্রাসাদে উন্নীত হয়। কালক্রমে এই রাজপ্রাসাদটি প্রথমত গভর্নর হাউস, পরবর্তীতে বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের পরে উত্তরা গণভবন তথা সরকারের উত্তরাঞ্চলীয় সচিবালয়ে পরিণত হয়।

এছাড়া চৌগ্রাম জমিদার বাড়ি, বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুর রাজবাড়ি, বনপাড়া লুর্দের রানী মা মারিয়া ধর্মপল্লী, লালপুরের ফকিরচাঁদ বৈষ্ণব গোঁসাইজির আশ্রম, গোপালপুরের শহীদ সাগর, সিংড়ার চলনবিল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

 

বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

 

মহারানী ভবানী: বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামে জন্মগ্রহণ করলেও নাটোরের সাথে রানী ভবানীর ইতিহাস জড়িত। নাটোর রাজ্য উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে রাজা রামজীবনের দত্তক পুত্র রামকান্তের স্ত্রী রানী ভবানীর রাজত্বকালে। বিশাল জমিদারির অধিশ্বরী হওয়ার জন্য তাকে মহারানী উপাধি দেয়া হয় এবং তাকে অর্ধ-বঙ্গেশ্বরী হিসেবে অভিহিত করা হত। তাঁর দানকৃত অর্থে বহু টোল পরিচালিত হত। জনসাধারণের সুবিধার জন্য তিনি অনেক হাট, বাজার এবং রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, বহু দীঘি ও পুকুর খনন করেছিলেন। শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে ৭৯ বছর বয়সে বড়নগর রাজবাড়িতে রানী ভবানী মৃত্যুবরণ করেন।

এয়ার ভাইস মার্শাল খাদেমুল বাশার: খাদেমুল বাশার ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ মার্চ নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলাধীন ছাতারবাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি ৬নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন এবং পরবর্তীতে তাঁকে “বীর উত্তম” খেতাব প্রদান করা হয়। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন এবং তাঁকে এয়ার ভাইস মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিমান বন্দরে এক বিমান দুর্ঘটনায় তিনি ইন্তে কাল করেন।

এছাড়াও রয়েছেন হযরত ঘাসী দেওয়ান, মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায়, মরমী কবি আহসান আলী, স্যার যদুনাথ সরকার, শরৎকুমার রায়, কবি হাসার উদ্দীন, মাদার বখশ, মোঃ মকসুদুর রহমান, রাধাচরণ চক্রবর্তী, শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরী, কুবীর চান শাহ, দেওয়ান সাগর, কালী প্রসন্ন রায়, রামকান্ত রায়, রানী হেমাঙ্গিনী দেবী, মোহিত কুমার মৈত্র, প্রমথ নাথ বিশী, গজেন্দ্রনাথ কর্মকার, সমর পাল প্রমুখ।

অন্যান্য > নাটোর জেলার লালপুর বাংলাদেশের উষ্ণতম স্থান।

সংসদীয় আসন-৪টি।
  •  ৫৮ নাটোর-১,লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা
  • ৫৯-নাটোর-২, নাটোর সদর উপজেলা
  • ৬০-নাটোর-৩,সিংড়া উপজেলা
  • ৬১-নাটোর-৪,গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম ‘উপজেলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button