আরও ১০ দিন বন্ধ থাকছে কুয়েট
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) কর্তৃপক্ষ আরও ১০ দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কুয়েট শিক্ষক মৃত্যুকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ বিবেচনায় বন্ধের সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে ভার্চুয়ালি আয়োজিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে, ওই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ক্যাম্পাসের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মধ্যে গত ৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এসময় ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট ক্যাম্পা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। গঠিত কমিটিকে ১০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি আরও ১০ দিন ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান।
এর মধ্যেই তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে। তাদের সুপারিশ বিবেচনায় ক্যাম্পাস আরও ১০ দিন বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের মানসিক নির্যাতনের কারণে গত ৩০ নভেম্বর হার্ট অ্যাটাকে মারা যায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেন। তিনি ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের সাথে যোগ দেয় শিক্ষক সমিতি।
তাদের দাবি, কুয়েট শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আন্দোলনের মুখে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।