প্রকৃতি ও প্রত্যয় কাকে বলে? প্রকৃতি ও প্রত্যয় কত প্রকার ও কী কী?
প্রকৃতি ও প্রত্যয়
প্রকৃতি ও প্রত্যয়
উত্তর : প্রকৃতি ও প্রত্যয় দ্বারা নতুন নতুন শব্দ গঠিত হয়। নিম্নে প্রকৃতি ও প্রত্যয়ের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ উদাহরণসহ আলোচনা করা হল-
প্রকৃতি কাকে বলে?
ক্রিয়া ও নাম শব্দের মূল বা অবিভাজ্য অংশকে প্রকৃতি বলে।
প্রকৃতি দু’ভাগে বিভক্ত। যথা:
ক) ক্রিয়া প্রকৃতি বা ক্রিয়ামূল বা ধাতু এবং
খ) নাম প্রকৃতি বা শব্দমূল বা প্রাতিপদিক।
ক্রিয়া প্রকৃতি কাকে বলে?
ক্রিয়ার মূল বা অবিভাজ্য অংশকে ক্রিয়া প্রকৃতি বা ক্রিয়ামূল বা ধাতু বলে।
যেমন: চলন্ত = চপ্ + অন্ত এবং পড়া = পড় + আ। এখানে চল’ এবং ‘পড়’ ক্রিয়া প্রকৃতি। ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু বোঝাতে ‘V’ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন:
উপসর্গ কাকে বলে? উপসর্গের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।
ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি কাকে বলে? ব্যাকরণিক শব্দ কয় প্রকার ও কী কী ?
নাম প্রকৃতি কাকে বলে?
ক্রিয়া ছাড়া অন্য শব্দ তথা নামশব্দের মূল বা অবিভাজ্য অংশকে নাম প্রকৃতি বা শব্দমূল বা প্রাতিপদিক বলে।
যেমন : হাতা = হাত + আ বাঙালি = বাঙাল + ই প্রভৃতি। এখানে ‘হাত’ এবং ‘বাঙাল’ নাম প্রকৃতি। *
প্রত্যয় কাকে বলে?
যে সকল বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি প্রকৃতির শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাদেরকে প্রত্যয় বলে।
প্রত্যয়ও দু’ভাগে বিভক্ত। যথা:
ক) কৃৎ প্রত্যয়
এবং
খ) তদ্ধিত প্রত্যয়
কৃৎ প্রত্যয় কাকে বলে?
যে সকল বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ক্রিয়া প্রক্রিয়া তথ্য ধাতু বা ক্রিয়ামূলের শেষে যুক্ত হয়ে ক্রিয়াবাচক শব্দ গঠন করে তাদেরকে কৃৎ প্রত্যয় বলে। কৃৎ প্রত্যয় দ্বারা গঠিত শব্দকে কৃদন্ত শব্দ বা পদ বলা হয়। যেমন : চলন্ত = চল+ অন্ত এবং পড় + আ = পড়া। এখানে ‘অন্ত’ এবং ‘আ’ কৃৎ প্রত্যয়।
তদ্ধিত প্রত্যয় কাকে বলে?
যে সকল বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি নাম প্রকৃতি তথা প্রাতিপাদক বা শব্দমূলের শেষে যুক্ত হয়ে নামবাচক শব্দ গঠন করে তাদেরকে তদ্ধিত প্রতায় বলে। তদ্ধিত প্রত্যয় দ্বারা গঠিত শব্দকে তদ্ধিতান্ত শব্দ বা পদ বলে। যেমন : হাত + আ = হাতা এবং বাঙাল + ই = বাঙালি । এখানে ‘আ’ এবং ‘ই’ তদ্ধিত প্রত্যয়।
####
এই পোস্ট থেকে আমরা প্রকৃতি ও প্রত্যয় কাকে বলে? প্রকৃতি ও প্রত্যয় কত প্রকার ও কী কী? সম্পর্কে জানতে পারলাম। পোস্টটি কেমন লাগলো আমাদের কমেন্ট করে জানান। ধন্যবাদ।