নীলফামারী জেলার সকল তথ্য (যে কোন পরীক্ষার জন্য)

নীলফামারী জেলা পরিচিতি

নীলফামারী জেলা পরিচিতি

নীলফামারী জেলা কোন নদীর তীরে অবস্থিত: তিস্তা ।

নীলফামারী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে: ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জুন।

নীলফামারী জেলার আয়তন কত: ১,৬৪৩.৪০ বর্গ কিলোমিটার।

নীলফামারী জেলা কোন বিভাগে অবস্থিত: রংপুর বিভাগে।

নীলফামারী জেলার সীমানা: পূর্বে রংপুর ও লালমনিরহাট জেলা, দক্ষিণে রংপুর ও দিনাজপুর জেলা, পশ্চিমে দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলা এবং উত্তরে ভারতের শিলিগুড়ি জেলা ।

নীলফামারী জেলার ভৌগোলিক অবস্থান: ২৫° ৪৪” হতে ২৬°১৯”উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪৬’ হতে ৮৯°১২” পূর্ব দ্রাঘিমাংশ

নীলফামারী জেলা উপজেলা কয়টি: ৬টি; নীলফামারী সদর, সৈয়দপুর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা,কিশোরগঞ্জ।

নীলফামারী জেলা থানা কয়টি: ৬টি।

নীলফামারী জেলা পৌরসভা কয়টি: ৪টি : নীলফামারী সদর, সৈয়দপুর, ডোমার ও জলঢাকা ।

নীলফামারী জেলা ইউনিয়ন কয়টি: ৬০টি।

নীলফামারী জেলার পোস্ট কোড কত: ৫৩০০

নীলফামারী জেলা এন ডাব্লিউ ডি কোড কত: ০৫৫১

ঢাকা থেকে নীলফামারী জেলার দূরত্ব কত: সড়ক পথে ৩৭৫ কি. মি. ও রেলপথে ৩৯৫ কি.মি.।

নীলফামারী জেলার জনসংখ্যা: ১৮,৩৪,২৩১ জন (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)।

নীলফামারী জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব: ১২১৫ বর্গ কি.মি

নীলফামারী জেলার বৃদ্ধির হার: ১.৫৩% ।

নীলফামারী জেলার প্রধান ফসল: ধান, গম, আলু, তামাক, ভুট্টা, পাট, মসলা, তৈলবীজ, শাক-সবজি প্রভৃতি

নীলফামারী জেলার নদ-নদী: তিস্তা, বুড়িতিস্তা, বুড়িখোড়া, বামণ ডাঙ্গা, দেওনাই ভুলাই, চারালকাটা, যমুনেশ্বরী, শালকী ইত্যাদি ।

নীলফামারী জেলার খনিজ সম্পদ: নুড়ি পাথর (তিস্তা নদীর পশ্চিমে ডিমলা উপজেলার অংশ বিশেষে)।

নীলফামারী জেলার স্থানীয় পত্র পত্রিকাঃ দৈনিক নীলফামারী বার্তা, দৈনিক নীলকথা, দৈনিক চেতনা, দৈনিক মুক্তভাষা, দৈনিক জলকথা, সাপ্তাহিক নীলসাগর, সাপ্তাহিক নীল সমাচার, সাপ্তাহিক সৈয়দপুর বার্তা, সাপ্তাহিক দাগ, সাপ্তাহিক মানব সমস্যা, সাপ্তাহিক চিকলী, সাপ্তাহিক নীলচোখ, সাপ্তাহিক নীলদর্পণ, মাসিক জনগণের বার্তা প্রভৃতি।

নীলফামারী জেলার জেলা প্রশাসক: আপডেট জেনে নিবেন।

নীলফামারী জেলার নামকরণ

দুই শতাধিক বছর পূর্বে এ অঞ্চলে নীল চাষের খামার স্থাপন করে ইংরেজ নীলকরেরা। এ অঞ্চলের উর্বর ভূমি নীল চাষের অনুকূল হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় নীলফামারীতে বেশি সংখ্যায় নীলকুঠি ও নীল খামার গড়ে ওঠে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই দুরাকুটি, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ, টেঙ্গনমারী প্রভৃতি স্থানে নীলকুঠি বা নীল খামার স্থাপিত হয়। ধারণা করা হয়, স্থানীয় কৃষকদের মুখে ‘নীল খামার’ রূপান্তরিত হয় ‘নীল খামারী তে। আর এই নীলখামারীর অপভ্রংশ হিসেবে উদ্ভব হয় নীলফামারী নামের।

 

নীলফামারী জেলার ঐহিত্য

ভাওয়াইয়া গান, দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা সেচ প্রকল্প, সৈয়দপুরে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা, উত্তরা ইপিজেড, নীলসাগর নামীয় বিশাল দীঘি প্রভৃতি ।

 

নীলফামারী জেলার দর্শনীয় স্থান

নীলসাগর/বিন্নাদীঘি: জনশ্রুতি আছে যে, প্রায় ৫২০০ বছর পূর্বে দীঘিটি (আয়তন ৯৩.৯০ নীলফামারী-দেবীগঞ্জ- পঞ্চগড় পাকা সড়কের পাশে অবস্থিত। মহাভারতে বর্ণিত বিরাট রাজা একর) খনন করা হয়েছিল। এই স্থানটি নীলফামারী জেলা শহর থেকে ১৬ কি.মি. উত্তর-পশ্চিমে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে নিহত হলে তাকে এই দীঘির পাড়ে সমাহিত করা হয়। বিরাট রাজার দীঘি। কালক্রমে ‘বিরনা দীঘি’ এবং সিএস জরিপকালে ‘বিন্নাদীঘি’ নামে পরিচিত হয়। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের ৮ মার্চ তৎকালীন রংপুরের জেলা প্রশাসক মাহে আলম এবং নীলফামারীর মহকুমা প্রশাসক আব্দুল জব্বার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দীঘি সংস্কারের কাজ উদ্বোধনকালে এর নামকরণ করেন ‘নীলসাগর’।

 

নীলফামারী জেলার পুরাকীর্তি

ময়নামতির দুর্গ: রাজা ধর্মপালের বিধবা শ্যাপিকা ময়নামতির নামে নির্মিত ‘ময়নামতি চাড়াল কাটা নদীর পশ্চিম তীরে ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের আটিবাড়ি গ্রামে অবি আয়তাকার এ দূর্গের চারিদিকে ৮ ফুট উঁচু, ১২ ফুট উঁচু এবং প্রায় ৩ হাজার ফুট দৈর্ঘ্য বেষ্টনী রয়েছে। বেষ্টনী দেয়াল ঘেঁষে ৩০ ফুট প্রশস্ত পরিখা অবস্থিত।

এছাড়াও রয়েছে নীলফামারী সদর উপজেলার কুন্দুপুকুর ইউনিয়নে হযরত মহিউদ্দিন (রাঃ) এর মাজার/ কুন্দুপুকুর মাজার, গড় ধর্মপালের পূর্বদিকে নদীর তীরে ধর্মপালের রাজবাড়ি ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত চিনি মসজিদ, জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের অন্তর্গত ধ্বংসাবশেষ টিলা হরিশচন্দ্রের পাঠ বা রাজবাড়ি, কিশোরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স এ “ভীমের আ “ভীমের মায়ের চুলা, ব্রিটিশ আমলের নীল কুঠি বা বর্তমান নীলফামারী অফিসার্স ক্লাব প্রভৃতি আর

নীলফামারী জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

  • পীর ও কামেল শাহ কলন্দর (রাঃ), কৃষক বিদ্রোহের মহান নেতা নবাব নুরুল উদ্দীন।
  • কারমাইকেল কলেজের প্রথম মুসলিম ভিপি খয়রাত হোসেন।
  • ভাষা সৈনিক দবির উদ্দিন আহমেদ।
  • পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ডাঃ জিকরুল হক।
  • ভাওয়াইয়া সঙ্গীত সম্রাট নম আব্বাস উদ্দিনের সহধর্মিণী ও সুসাহিত্যিক বেগম লুৎফুন্নেছা আব্বাস।
  • ভাওয়াইয়া সঙ্গীতশিল্পী কলাক রায়।
  • গীতিকার ও কণ্ঠ শিল্পী মহেশ চন্দ্র রায়।
  • বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান নুর।
  • বিশিষ্ট পল্লীগীতি শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় প্রমুখ।।

নীলফামারী জেলা মুক্তিযুদ্ধে শত্রু মুক্ত হয় কত তারিখে: ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১।

 

নীলফামারী জেলার অন্যান্য তথ্য

জনপ্রতিনিধি: সংসদীয় আসন ৪টি। যথা-

নীলফামারী-১- ডোমার ও ডিমলা উপজেলা।

নীলফামারী-২- নীলফামারী সদর উপজেলা।

নীলফামারী-৩- জলঢাকা উপজেলা এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচণ্ডি, বড়ভিটা পুঁটিমারী ইউনিয়ন।

নীলফামারী-৪- রণচণ্ডি, বড়ভিটা ও পুঁটিমারী ইউনিয়ন ব্যতীত কিশোরগঞ্জ এবং সৈয়দপুর উপজেলা।

####

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button