চোখ উঠা সমস্যা, কারন, লক্ষণ ও এর প্রতিকার

চোখ ওঠা রোগের কারণ ও প্রতিকার

চোখ উঠা সমস্যা, কারন, লক্ষণ ও এর প্রতিকার

চোখ ওঠা একটি ভীষণ অস্বস্তিদায়ক সমস্যা যদিও এটি তেমন মারাত্মক নয় তবু চোখ উঠা রোগটি ঝামেলার অপর নাম। এই সমস্যা তেমন গুরুতর নয় এর জন্য কোনো চিকিৎসার প্রয়োজনও পরে না আক্রান্ত ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে সাধারনত সুস্থ্য হয়ে যায়। তবে এই সময়টুকু একজন ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ পীড়া দেওয়ার জিন্য যথেষ্ঠ। চোখ ওঠা সমস্যায় ভয় না পেয়ে কিছুটা যত্ন নিলেই খুব সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

 

চোখ উঠার কারন-

সাধারনত ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমনে চোখ উঠে থাকে এছাড়াও আপরিষ্কার পরিবেশে থাকাও চোখ উঠার অন্যতম একটি কারন।

 

চোখ উঠার লক্ষণসমূহ-

  • চোখ লাল হয়ে যায়। সাধারণত প্রথমে এক চোখ লাল হয়, পরে দুই চোখই হয়
  • চোখ দিয়ে পানি পড়ে
  • চোখে খচখচ করে (অস্বস্তিবোধ হয়)
  • চোখে ব্যথা হয়
  • আলো সহ্য হয় না
  • চোখের পাতা ফুলে যায়
  • চোখে কেতুর (পিচুটি) জমা হয়
  • ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা একসাথে লেগে থাকে
  • চোখ জ্বালাপোড়া হয়
  • যাদের চোখের কর্নিয়া আক্রান্ত হয় তারা চোখে ঝাপসা দেখেন

 

যেভাবে ছড়ায়-

সাধারনত স্পর্শের মাধ্যমে এ রোগটি ছড়িয়ে থাকে। যদি কোনো সুস্থ্য ব্যক্তি আক্রান্ত ব্যাক্তির স্পর্শে আসে তাহলে এ রোগটি ছড়িয়ে থাকে। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র যেমন তোয়ালে,গামছা,সানগ্লাস ব্যবহার করলে এ রোগটি ছড়াবে। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস ছুয়ার পর নিজের চোখে ধরলেও এ রোগটি ছড়াতে পারে।

চোখ উঠলে করনীয়-

  • চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আর্টিফিশিয়াল টিয়ার, অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ডোজ মেনে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • হাত দিয়ে চোখ চুলকানো থেকে বিরত থাকতে হবে
  • রোগীকে কালো চশমা পরতে হবে
  • জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে
  • চোখ মোছার জন্য আলাদা নরম সুতি কাপড়, রুমাল, টিস্যু ব্যবহার করতে হবে
  • চোখ ওঠা রোগীদের যত সম্ভব আলাদা থাকতে হবে
  • ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত যেকোনো ঔষুধ বা ড্রপ জাতীয় জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে।

চোখ ওঠা রোগ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. চন্দ্র শেখর মজুমদার বলেন, ‘সাধারণত এমনিই এ রোগ ভালো হয়ে যায়। তা ছাড়া যেকোনো প্রয়োজনে চিকিৎসকের কাছ থেকেই পরামর্শ নেওয়া উত্তম।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button