ইনফ্রারেড কি বা কাকে বলে? ইনফ্রারেড কত প্রকার? সুবিধা ও অসুবিধা

ইনফ্রারেড কি বা কাকে বলে?

৩০০ গিগাহার্জ হতে ৪০০ টেরাহার্জ পর্যন্ত ফ্রিকোয়েন্সিকে বলা হয়ে থাকে ইনফ্রারেড। খুবই নিকটবর্তী ডিভাইসের মধ্যে ডেটা কমিউনিকেশনের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। সিগনাল ট্রান্সমিট করার জন্য ইনফ্রারেড মানের আলো ব্যবহার করা হয় (LED- Light Emitting Diode বা ILD – Interjection Laser Diode)।

রিসিভিং প্রান্তে ফটোডায়োড সিগনাল গ্রহন করা হয়ে থাকে। ইনফ্রারেড সিগনালে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল এটি ঘরের দেয়াল বা শক্ত বাধা ভেদ করতে পারে না। মাঝে কোনো ধরনের বাধা না থাকলে এ ধরনের ট্রান্সমিশন সিগনাল সর্বোচ্চ ৩০ মিটার পর্যন্ত যেতে পারে। এছাড়া ইনফ্রারেড সিগনাল উজ্জ্বল কোন আলোক  উৎসের সংস্পর্শে এলে এর অস্তিত্ব লোপ পায়। বিভিন্ন রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেমে এ মাধ্যম ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

এছাড়াও ইনফ্রারেড সিগনাল ট্রান্সমিশনের আরও দুটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি রয়েছে। যথা-

ক. পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট,

খ. ব্রডকাস্ট।

 

ক) পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (Point to Point): এ পদ্ধতিতে ইনফ্রারেড বীম  নির্দিষ্ট একটি টার্গেট লক্ষ্য করে প্রক্ষেপন করা হয়। এতে শুধু ঐ নির্দিষ্ট টার্গেটটিই সিগনাল গ্রহণে সমর্থ্য হয়। এতে সিগনাল রিসিভিং ডিভাইস বা ওয়ার্ক স্টেশন কোনো ভাবেই স্থান পরিবর্তন করতে পারে না।

আরও পড়ুন:

ই-সিম কী? ই-সিমের সুবিধা ও অসুবিধা এবং ব্যবহারের নিয়ম

মোবাইল অফিশিয়াল না আন অফিশিয়াল বুঝবেন যেভাবে

পয়েন্ট টু পয়েন্ট ট্রান্সমিশনের কিছু নিদির্ষ্ট বৈশিষ্ট্য-

পয়েন্ট টু পয়েন্ট ট্রান্সমিশন ১০০ গিগাহার্টজ থেকে ১০০০ টেরাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করতে পারে। মূলত কোন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর  ব্যয় নির্ভর করে। দূরপাল্লার জন্য দরকার হয় শক্তিশালী লেজার ডিভাইস। এতে ব্যয় বেশি হবে। অপরদিকে অল্প দূরত্বে সিগনাল পাঠানোর জন্য সাধারণ রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস ব্যবহার করা যায় এবং এতে খরচও বেশ কমে যাবে। ইনফ্রারেড ট্রান্সমিশন ইকুইপমেন্ট ইনস্টল করা কঠিন কিছু না, এতে শুধু নিশ্চিত করতে হয় প্রতিটি ডিভাইস লাইন অব সাইটে আছে কি না।

যন্ত্রপাতির ওপর ভিত্তি করে ব্যান্ডউইডথ ১০০ কেবিপিএস থেকে ১৬ এমবিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটেনুয়েশন কতটুকু প্রভাব ফেলবে তা আশপাশের আলো এবং আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে। ইনফ্রারেড ট্রান্সমিশন বিঘ্নিত হয় উজ্জ্বল আলো দ্বারা। তবে ইভসড্রপিঙের কোন সম্ভাবনা এতে থাকে না।

আরও পড়ুন:

গুগলে দ্রুত সঠিক তথ্য খুঁজে পাওয়ার কৌশল

ব্লুটুথ কি বা কাকে বলে? ব্লুটুথের বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার, সুবিধা ও অসুবিধা

খ) ব্রডকাস্ট (Broasdcast): এ পদ্ধতিতে ইনফ্রারেড সিগনাল বিস্তৃত এলাকাতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে একের অধিক ডিভাইস এক সাথে সিগনাল গ্রহন করতে পারে। এই পদ্ধতিতে রিসিভিং যন্ত্রগুলো প্রয়োজনে প্রক্ষেপিত সিগনালের কভারেজের মাধ্যমে যে কোন স্থান পরিবর্তন করতে পারে।

 

ব্রডকাস্ট ইনফ্রারেড ট্রান্সমিশনের বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো-

  • ব্রডকাস্ট ইনফ্রারেড ট্রান্সমিশনের ফ্রিকোয়েন্সি ১০০ গিগাহার্টজ থেকে ১০০০ টেরাহার্টজ পর্যন্ত হতে পারে।
  • ইকুইপমেন্ট ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী এর ব্যয় কমবেশি হতে পারে।
  • ইনস্টলেশন খুবই সহজ। এতে খেয়াল রাখতে হবে যেন ট্রান্সমিটারের সাথে সব ওয়ার্কস্টেশন লাইন অব সাইটে থাকে। বেশি আলো যেন না পড়ে সেদিকেও বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • এখানে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ইনফ্রারেড ট্রান্সমিশনের মতোই ইএমআই ও এটেনুয়েশন দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন:

মোবাইল ফোন কি? মোবাইল ফোনের জনক, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা ও অসুবিধা

কম্পিউটার কাকে বলে? কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ ও ব্যবহার

ইনফ্রারেড সিগনালের অসুবিধাসমূহ

  • এটি কোনো বস্তু বা ঘরের দেওয়াল  ভেদ করে অপর প্রান্তে যেতে পারে না।
  • এই সিগনাল যখন শক্তিশালী আলোক উৎসের সংস্পর্শে আসে তখন এর অস্তিত্ব লোপ পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button